জীবাশ্ম ও জীবন্ত জীবাশ্মের পার্থক্য কি?
Share
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
আমরা চাই , যাদের জ্ঞান রয়েছে ও যাদের প্রয়োজন তাদের সাথে যোগাযোগ করাতে , বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি সহ লোকদের একত্রিত করতে , যাতে তারা একে অপরকে আরও ভালভাবে বুঝতে পারে এবং প্রত্যেককে তাদের জ্ঞান শেয়ার করে নেয়।
Aditya Mondal
জীবাশ্মঃ জীবদেহের কোনো অংশ বা সম্পূর্ণ জীবদেহ পাললিক শিলাস্তরে চাপা পড়ে বহু যুগ ধরে ভৌত ও রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে শিলায় পরিণত হয় বা শিলায় ওই জীববদেহাংশ বা সম্পূর্ণ দেহের ছাপ প্রাকৃতিক ভাবে সংরক্ষিত হয় তাকে জীবাশ্ম বলে।
যেমনঃঘোড়ার প্রাচীন জীবাশ্ম হল ইওহিপ্পাস।
জীবন্ত জীবাশ্মঃ কোনো কোনো জীবগোষ্ঠীর কিছু কিছু জীব সুদূর অতীতে জন্মলাভ করলেও বর্তমান অপরিবর্তিত অবস্থায় পৃথিবীতে রয়ে গেছে বা বেঁচে আছে কিন্তু তাদের সমসাময়িক জীবের অবলুপ্তি ঘটেছে তাকে জীবন্ত জীবাশ্ম বলে।
যেমন : আরশোলা।
জীবাশ্ম ও জীবন্ত জীবাশ্ম এর পার্থক্য হল জীবাশ্ম বলতে কোনো জীবের জীবদেহের প্রস্তরীভূত দেহ বা ছাপ কে বোঝায় আর জীবন্ত জীবাশ্ম বলতে কিছু জীব অতিতে জন্মলাভ করলেও এখনও অপরিবর্তিত অবস্থায় বেঁচে আছে।
Puskar Sikdar
জীবাশ্ম– ভূপৃষ্ঠের পাললিক শিলা স্তর এরমধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চাপা পড়ে থাকা প্রাণী বা উদ্ভিদের প্রস্তরীভূত দেহাবশেষ হল জীবাশ্ম। যেমন- ঘোড়ার পূর্বপুরুষ ক্রমে ক্রমে জীবাশ্ম রূপে রয়েছে (ইওহিপ্পাস- মেসহিপ্পাস- মেরিচিহিপ্পাস – প্লায়োহীপ্পাস – ইকোয়াস) বর্তমান ঘোড়ার প্রজাতি হলো ইকোয়াস।
জীবন্ত জীবাশ্ম- যে সকল প্রাণী অতীতে যে অবস্থায় ছিল এবং যেকোনো দুটি জীব গোষ্ঠীর মধ্যে সংযোগ রক্ষা করত এবং বর্তমানেও একই অবস্থায় রয়েছে তাহাকে জীবন্ত জীবাশ্ম বলে।
যেমন – প্লাটিপাস প্রাণীটি সরীসৃপ ও স্তন্যপায়ীর মধ্যে সংযোগ রক্ষা করে।
অর্থাৎ, 1.জীবাশ্ম হল কোন প্রাণীর দেহাবশেষ এবং জীবন্ত জীবাশ্ম হল প্রাচীনকালের জীব গোষ্ঠী সংযোগ রক্ষাকারী প্রাণী।
2.জীবাশ্ম অর্থাৎ মৃত প্রাণী কে বোঝায় এবং জীবন্ত জীবাশ্ম যেখানে প্রাণী জীবন্ত থাকে এবং জীব গোষ্ঠীর মধ্যে সংযোগ রক্ষা করে।